| Sign-Up

জয় বাংলা - বাংলার জয়। জয় বাংলা ৭১ (একাত্তর) www.JoyBangla71.com পোর্টালে আপনিও কলাম ও সংবাদ প্রকাশ করতে পারবেন। আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশ করতে পারবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সব চেয়ে নির্মম অবস্থা বর্তমান সাংবাদিকতা। তাই আপনার এলাকার সংবাদ আপনি নিজেই প্রকাশ করুন।

সামাজিক মাধ্যম থেকে

সাংঘাতিক ইবলিয়াস হোসাইন ওরফে ইল্লুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এবং তার মায়ের সঙ্গে আমার কিভাবে পরিচয়

ইবলিয়াসের রম্য কাহিনী – গোলাম মাওলা রনি

সাংঘাতিক ইবলিয়াস হোসাইন ওরফে ইল্লুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এবং তার মায়ের সঙ্গে আমার কিভাবে পরিচয় এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে তার অফিসের লম্পট বসের সঙ্গে কি সম্পর্ক তা নিয়ে বিস্তারিত বলার আগে ইল্লুর মায়ের যৌবন কালের কল্পিত ছবিটি ভালো করে একে নিন !

ইল্লুকে নিয়ে বিস্তারিত বলার পূর্বে নিজের সম্পর্কে কিছু বলা অবশ্যক ! আমার শরীরটা অনেকটা বাইলা মাছের মতন নরম যা নিয়ে সারাটি জীবন আমি কৈ মাছের মতো লড়াই করে বেঁচে আছি ।

চাকুরী বাকুরি, ব্যবসা বাণিজ্য, রাজনীতি এবং মেধার লড়াইয়ে গত ৪০ বছরে বড় বড় রাঘব বোয়াল, মাফিয়া সিন্ডিকেট এবং তথাকথিত বুদ্ধি জীবীদেরকে পেছনে ফেলে আমি যেভাবে আজ অবধি টিকে আছি তা রীতিমতো বিস্ময়কর ! শেখ হাসিনা সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে আমার আর্থিক দুর্নীতি এবং বাক্তিগত চরিত্রহীনতার প্রমাণ খোঁজার জন্য ।যদি কিছু পেত তবে এতদিন জেলে থাকতাম !

জীবনে আমি ইল্লু বিল্লুদের সঙ্গে কোনদিনই লড়াই করিনি ! যাদের সঙ্গে লড়েছি তারা ক্ষমতা বিত্ত বৈভবে দেশ সেরা এবং সব লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে ! শত্রুদের অনেকে অপমান,অপদস্ত, মামলা মোকদ্দমা এবং প্রকৃতির প্রতিশোধের কবলে পড়ে এমনভাবে অধঃপতিত হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা ।

জীবন যুদ্ধের এই পর্যায়ে যখন সবকিছু সেটেলড অর্থাৎ ৪০ বছরের বিবাহিত জীবন, তিনটি মেধাবী ছেলেমেয়ে যারা নিজ নিজ কর্মে সফল, ৭ টি ভাই, হাজার খানেক নিকট আত্মীয় এবং দেশ বিদেশের কয়েক লাখ পরিচিত লোকজনের নিকট যখন আমার জীবনের সবকিছুই খোলা কিতাবের মতো পরিষ্কার তখন মানসিক বিকার গ্রস্ত মানবরূপী সাক্ষাৎ শয়তান ইল্লু সামাজিক মাধ্যমে যা কিছু করছে তার জন্য তার জন্মত্রুটি, মা বাবার অনৈতিক জীবন এবং নিজের পাশবিক জীবনই দায়ী ! তার জীবনের হতাশার নেপথ্য কারন বর্ণনা করলেই বুঝবেন কেন সে বুনো শুয়োরের মতো সারাক্ষন শব্দ করে আর মন্দ চিন্তা এবং মন্দ ক্রমে ব্যস্ত থাকে !

ইল্লু যখন বালক তখন তার মা কয়েকটি হোটেলে নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। কখনো তার বাবা আবার কখনো বালক ইল্লু তার মাকে হোটেলে নিয়ে আসতো এবং মায়ের ফিরে না আসা পর্যন্ত লবিতে অপেক্ষা করতো । একদিন কোন এক যৌন দানবের কবলে পড়ে মহিলা রক্তাক্ত হলো । পুরো হোটেলে হৈচৈ পড়ে গেলো। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলো ! আমি তখন জরুরী বিভাগে ছিলাম ইল্লুর কান্না এবং লোকজনের হৈচৈ শুনে এগিয়ে গেলাম। মহিলার করুন অবস্থা দেখে আমি উপস্থিত লোকজনকে বললাম আগে ভিকটিমকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য ।সেই দিন ইল্লু এবং তার মা যে কৃতজ্ঞতা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো তা নিজ চোখে না দেখলে বোঝানো যাবেনা !

উল্লেখিত ঘটনার সূত্রে ইল্লুর মা একদিন ইল্লুকে নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলো ! কেঁদে কেঁদে বলেছিলো কারা তাকে কিভাবে ঠকায় এবং সে কেন ওসব কর্ম করে বেড়ায় ! ইল্লু সাক্ষী – সেদিন তার মাকে আমি কি বলেছিলাম এবং তাদের জন্য কি করেছিলাম । এতোকিছুর পরও ইবলিশ রুপি ইল্লু কেন ভাদ্র মাসের কামাসক্ত পাগলা কুকুরের মতো আচরন করছে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না ।

দ্বিতীয়ত, ইল্লু যখন বড় হলো তখন আমি জানলাম যে সে এক লম্পটের অফিসে চাকুরী করে । লম্পট বসের মনোরঞ্জনের জন্য সে নিজের স্ত্রীকে কিভাবে বসের শয্যায় পাঠাতো তা তার অফিসের লোকজন আজো বলাবলি করে।

বিদেশে নিজেকে সমকামী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে শরণার্থী হওয়া, একাধিক বিয়ের পরও একের পর এক পরকীয়া করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেয়ে গন পিটুনি খাওয়া এবং এসব কুকর্মের জন্য জেলে যাওয়া সহ পাবলিক প্লেসে জনগনের হাতে কুত্তা পিটুনি খাওয়ার কথা কমবেশি সবাই জানলেও ওসব নিয়ে আমার কথা বলার রুচি আমার নেই !

নিজের পুতি দুর্গন্ধময় জীবন যন্ত্রণার কারনে সে যে সকল কাজ করছে তার কারনে সারা বাংলায় তার মতো ঘৃণিত মানুষরুপি শয়তান দ্বিতীয়টি নেই ! এই শয়তান কেন আমাকে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তার কোন কারন আমি খুঁজে পাইনা।

আমার বাবা গামছা বিক্রি করতো না নুছনি বেচতো তা নিয়ে ইল্লুর কেন আগ্রহ। আমি কি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হলাম সেই চিন্তায় সে কেন নিজের জীবন জাহান্নাম বানিয়ে ফেলছে ! আমার কয়টি বৌ তা নিয়ে কেন তার আগ্রহ ! অথচ –

তার যে মা যৌবন বিক্রি করে তাকে লালন পালন করেছে এবং এখন বৃদ্ধা হয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তার জন্য দুমুঠো ভাতের যোগান দেয়া ইল্লুর জন্য জরুরি ! আর সেটা না করলে ট্যাক্সি বালক কবে যে অভিশপ্ত হয়ে ট্যাক্সি সহ বড় কোন ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ভবলীলা সাঙ্গ করবে তা আমরা কেউ জানিনা!

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উল্লেখিত ঘটনাটি একটি রম্য রচনা ! গল্পের সঙ্গে কারো ব্যাক্তিগত বিষয়ের সঙ্গে মেলানো না মেলানো পাঠকের একান্ত বিষয় !

মন্তব্য করুন