
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য হামলার চিত্র।

২১শে আগস্ট উপলক্ষ্যে আয়োজিত নিউ ইয়র্কে শোক সভা অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করা হলো ।
বাংলাদেশের রাজনীতি পাল্টে দিয়েছে ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। এই হামলা পুর্বের অনেক হামলার ধারাবাহিক অধ্যায়। বাংলদেশের পক্ষে, মুক্তি যুদ্ধের স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো তৎকালীন বিএনপি/জামাতের জঙ্গি সরকার। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভয়ঙ্কর সেই হামলার দৃশ্য এখনও মানুষকে আতঙ্কিত করে।
এই হামলার ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে হত্যা করা হোচ্ছিলো আওয়ামী লীগের প্রথমসারির নেতাদের। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আহসান উল্লাহ মাস্টার,এস এম কিবরিয়া, মমতাজ সহ আরো অনেক। এই হত্যাগুলোর বিচার যেন না হয় সেই লক্ষেই মনে হয় তৈরি করা ২১শে আগস্টের ম্যাটিকুলাস ডিজাইন । সেই আই এস আই’র সরবরাহকৃত আর্জেস গ্রেনেড ছিল মুল অস্ত্র। লাইট মেশিনগান ও ব্যবহার হয়েছিলো । সেই এল এম জি’র গুলিতে নিহত হন হাসিনার দেহরক্ষী মাহবুব। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত আলামত নষ্ট করে ফেলে তদানীন্তন সরকার নিজেই। এমনকি অবিষ্ফরিত গ্রেনেড গুলো পর্যন্ত ধ্বংস করা হয়েছিল ্! ককটেল এবং টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে খুনিদের পালাতে সাহায্য করে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী। ২৪ জনের জীবনের বিনিময়ে শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা পায়। চিকিৎসারত অবস্থায় আরো কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেন। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র জনাব হানিফ। এখনও অনেকে সেদিনের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বেচে আছেন। অনেকেই শরীরে বহন করছেন সেই অভিশপ্ত গ্রেনেডের স্পিলিন্টার।
তারপরের ইতিহাস অনেকেই হয়তো জানেন “জজ মিয়া নাটক “ আরেকটি অধ্যায় রচনা হয়েছিলো জামাত/ বিএনপি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী! এমন কোনো কূটকৌশল নেই যে চেষ্টা করা হয়নি এই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার। সয়ং খালেদা জিয়ার ভ্যানেটি ব্যাগ তত্ত্ব। সাথে তারেক জিয়ার শার্লক হোমস তত্ত্ব। স্থান পরিবর্তনের কথা বলে উনি জায়েজ করতে চেয়েছেন গ্রেনেড এ্যাটাক। অবলীলায় হেসে খেলে প্রমাণ করতে চেয়েছেন । আওয়ামী লীগ নিজেই নিজেকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো‼️ তারেক জিয়া যে চরম পর্যায়ের মিথ্যুক তার প্রমাণ ২০শে আগস্ট অধিকাংশ জাতিয় দৈনিকে রীতিমত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে মুক্তাঙ্গন নয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে হবে সভাটি।মুফতি হান্নান নিয়েও আছে প্রচন্ড রকম মিথ্যা অপতথ্য। মুফতি হান্নানই প্রকাশ্যে এনেছিলো তারেক রহমানের যোগসাজশ। পৃথিবীর এমন কোন আদালত নেই এত সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরও তারেক রহমান নির্দোষ প্রমাণিত হয়। একমাত্র আইন লঙ্ঘন করে সম্ভব তাকে নির্দোষ বলা। তদানীন্তন আর্মি পার্সন রেজ্জাকুল হায়দার এবং রহিমও তারেক রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ দিয়েছে। শুধু ১ জনের জবানবন্দিতে নয় কয়েকজন বলেছেন তারেক রহমানের কথা । সুষ্পষ্ট ভাষায় তারা তাদের জবানবন্দিতে তারেক রহমানের কথা বলেছে।
ঘটনার আদ্যপান্ত বিবেচনা করলে সরকারি সহায়তা পাওয়া একেবারে ফিলিপস বাত্তির মত ঝকঝকে পরিষ্কার।হামলার নেপথ্যে যারা ছিলো তাঁরা ছিলো ঠিক আজকের ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের মত। টুডে আর টুমোরো তারেক রহমানকে বিচারের মুখোমুখি হোতেই হবে ইংশাআল্লাহ্। হত্যা মামলা কখনোই তামাদি হয় না।