বাংলাদেশ আবারও এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা আজ বিভিন্ন মিথ্যা মামলার বাদী হয়ে দেশের সৎ নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। তারা ভাবে, আওয়ামী লীগকে দমন করলে দেশ দখল সহজ হবে। কিন্তু ইতিহাস তাদের শিক্ষা দেবে যারা বিশ্বাসঘাতক, তারা শেষ পর্যন্ত লজ্জিত ও নিন্দিত হয়েই মরবে।
এই দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তে সিক্ত। স্বাধীনতার পর থেকে একে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে তার কন্যা শেখ হাসিনা বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের আত্মার প্রতীক। দুর্ভিক্ষ-দারিদ্র্যের বাংলাদেশকে তিনি রূপ দিয়েছেন উন্নয়নের রোল মডেলে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুতের আলো কিংবা নারীর ক্ষমতায়ন সবকিছুর মধ্যেই তার নেতৃত্বের ছাপ অম্লান।
ঠিক এই কারণেই দেশবিরোধী শক্তি তাকে ভয় পায়। তারা জানে—শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশকে থামানো যাবে না। তাই বিদেশি প্রভুর ইশারায় তারা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্তু কি তারা বোঝে না জনগণের নেত্রীকে কখনো জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না?
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর সঠিকভাবেই বলেছেন
*বিজয়ের মালা নিয়েই শেখ হাসিনা ফিরবেন।*
এটি শুধু একটি কূটনৈতিক মন্তব্য নয়, বরং সত্যের ঘোষণা। কারণ শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন মানে কোটি মানুষের বিজয়, গণতন্ত্রের বিজয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয়।
আজ যারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছে, তাদের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। সময় এলে তাদের বিচার হবে। জনগণের আদালত সবচেয়ে শক্তিশালী আদালত, সেখান থেকে পালানোর পথ নেই।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা মানে এক নতুন জাগরণ। কোটি মানুষের চোখে আশা, প্রবাসীদের মনে গর্ব, আর বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও উজ্জ্বল হবে। তার প্রত্যাবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি একটি জাতির আত্মবিশ্বাসের পুনর্জাগরণ।
ষড়যন্ত্রকারীরা যাই করুক, শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না। কারণ তিনি ইতিহাসের ধারা, তিনি মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার, তিনি বাঙালির অবিচল আস্থা।
বাংলাদেশ শেখ হাসিনার। বিশ্বাসঘাতকরা মুছে যাবে, বিজয় হবে বাঙালির।
(সুত্র – বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের ফেসবুক পেইজ থেকে)